পড়াশোনা করার জন্য মোটিভেশন খুঁজছো ক্লাসে ফার্স্ট হওয়ার ইচ্ছা ভালো রেজাল্ট এবার করতেই হবে, সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছো তাইতো ।
তাহলে এবার একটা বিষয়ে, ভীষণভাবে জিদি হয়ে ওঠো যে দুনিয়াতে যা ইচ্ছা তাই হয়ে যাক, কিন্তু তুমি যেটা করবে ভেবেছো, সোটা এবার করেই দেখাবে যেকোনো মূল্যে কারণ শুধু মনে মনে স্বপ্ন দেখওলেই, পরীক্ষায় ফাস্ট হওয়া যায় না, তার জন্য প্রতিদিন ছক্ষা করতে হয়, নিজেকে সবার থেকে একটু আলাদা রাখতে হয় একা একাই ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটাতে হয়, শুধুমাত্র নিজের বই কে সাথে নিয়ে ।
এগুলো করতে গেলে শুরুর দিকে, মেন্টালি ভীষণ টর্চার সহ্য করতে হবে তোমাকে তবে এটা জেনে রাখো, এই খষ্টগুলো তুমি যত সহ্য করবে ততই তুমি নিজেকে ইম্প্রুখ করতে পারবে ততই তুমি অন্যদের থেকে বেশি ভালো করতে পারবে ।
যখন রাতের ঘুম কমে যাবে, যখন স্বপ্নের মধ্যেও কোন একটা অংকের সলিউশন খোঁজা শুরু করবে তখনি তোমার ব্রেনের প্রত্যেকটি নিউরন গুলো একসাথে কাজ করা শুরু করবে, তোমাকে টপার বানানোর উদ্দেশ্যে ।
হয়তো এই পরিশ্রম গুলো তোমার কাছে এখন, পনিশমেন্ট বলে মনে হেতে পারে কন্ত এর মূল্য তুমি তখনি পাবে, যখন ক্লাসে প্রখন তিনজনের মধ্যে তোমার নানটাও থাকবে, যখন তোমার বাবা তার বন্ধুদের সাথে, গর্ব করে তোমার রেজাল্টের কথা বলবে আর এই সমস্ত করার থেকে, তোমাকে এক জনি আটকাতে পারে যদি তুমি তাকেই কন্ট্রোল করে নিতে পারো তাহলে তোমাকে হারানো, কারোর সাধ্য হবে না জানতে চাও সে কে, না তুমি না কিন্তু তোমারই আর একটি অংশ যে তোমার ভেতরে প্রতিটি ভালো কাজের মধ্যে, নেগেটিভিটি খুঁজে বেড়ায় ।
যখন সকাল ছটায় এলার্ম বাজবে, তখন ও তোমাকে বলবে যে এলার্মটা বন্ধ করে দে, আধাঘন্টা আরো ঘুমিয়ে নে কোন কিছুই হবে না ।
কেন্তু তোমাকে ওর কথা শুনলে হবে না কারণ যদি তুমি ওর কথা শুনে চলো, তহলে পরীক্ষায় ফাস্ট হওয়া তোমার পক্ষে আর সম্ভব হবে না যেরকম একটি ক্ষুধার্ত বাঘ শিকার করার জন্য ওঠে ।
এলার্ম এর আওয়াজ শুনে, তোমাকেও ঠিক সেইভাবে উঠে পড়তে হবে, কারণ তুমি রেজাল্ট করতে চাও, সেটা তোমাকেই ঠিক করেত হবে, তুমি কি আর পাঁচটা সাধারণ স্টুডেন্টদের মতন রেজাল্ট করেত চাও যাদের রেজাল্ট দেখে কেউই খুশে হয় না, নাকি এটা তোমার জেদ, যে তুমি এমন একটি স্টুডেন্ট হবে, যাকে সবাই মথায় তুলে রাখবে যার রেজাল্ট দেখে প্রত্যেকেই, তাকে সম্মান করবে ।
কিন্তু তোমাকে এটা মনে রাখতে হবে এসব কেন কিছুই হবে না, যত সময় তুমি কিছু করবে না আর দেদিন থেকে তুমি নিজেকে বদলানো শুরু করে দেবে সেদিন থেকে তোমার জীবনের সবকিছুই বদলনো শুরু হয়ে যাবে, যখনই তোমার মনে এই খেয়ালটা আসবে, যে আজ থাক কাল করবো তখনই তুমি নিজেকে মনে করিয়ে দিও, যে তুমি কে হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছো, সেই দিনটা স্বপ্ন আরো একবার দেখে নিও যেদিন সবাই তোমাকে সবাসী দিচ্ছে, বাবা মায়ের সমনে বুক ফুলিয়ে তুমি দাঁড়িয়ে আছো ।
এর আগে হয়তো জীবনে এই দিনগুল আসেনি, কারণ তখন তুমি কমজোর ছিলে কিন্তু এখন তোমার কাছে সুযোগ আছে, নিজেকে পরির্বতন করার আর যদি তুমি আজ এই সুযোগ টিকেও হারেয়ে ফেলো তাহলে আগামী দিনে, তোমার জীবন আরো কঠিন হয়ে উঠবে ।
রোজ নিজেকে চ্যালেঞ্জ করো আজ যতটা করতে পেরেছো, কাল তার থেকেও ১% বেশি করার চেষ্টা করো আরজ ৫ ঘন্ট পড়েছ, তো কালল ৬ ঘন্টা পড়ার টার্গেট রাখো প্রতিদিন নিজের রেকর্ড নিজেই ব্রেক করো যখনই ক্লাসে এন্ট্রি করবে, নিজের মাইন্ডকে এভাবে প্রোগ্রাম করো যে তুমি মহামূল্যবান কিছু শিখতে গিয়েছো সেখানে যতটুকুই জ্ঞান পাবে, সবটুকুই শুষে নিও ।
এই পথে চলার কারণে, নিজেকে এরকমটা বানানোর কারণে প্রথম প্রথম যতই কষ্ট হোক না কেনো, আজ তুমি নিজেকে নিজে কথা দাও, তুমি কখনোই পিছু হাটবেনা ।
কষ্টকে দেখে কখনো ভয় পেয়ো না,বরং নিজের সহ্য ক্ষমতাটা আরো একটু বারিয়ে নাও, আর তোমার ভিতরের রাগ জেদ গুলোক, তুমি পারিশ্রমের মধ্যে দিয়ে বার করে দিও ।
হাঁ জানি তুমি এগুলো করতে করতে পারবে পরিশ্রম আর কষ্টকে দেখে তুমি পিছু হাটবে না, কারণ মেহেনাৎ তোমার রক্তে রয়েছে আর সেইজন্যই এই লেখাটি তোমার এখনো পোড়তে ভালো লাগছে ।।