কালো মেয়েটাও স্বপ্ন দেখে।আট-দশটা মেয়ের মত সুন্দর একটা ঘর বাধার স্বপ্ন।তারও একটা সুন্দর মন আছে কিন্তু মনটা আর কেউ দেখতে পায় না। বিয়ের জন্যে যখন তাকে দেখতে আসে তখন তার উপরের চেহারাটাই দেখে সবাই চলে যায়।এই মেয়েটাও কাদে কেউ তার কান্না দেখে না। সেটা সবার আড়লেই থাকে।হয়ত বালিশে মুখ গুজে কাদতে কাদতে বালিশের একটা পাশ বিজিয়ে ফেলে।আর বাহির থেকে সবাই ভাছে মেয়েটা হয়ত ঘুমিয়ে আছে।
প্রত্যেকবার তার মনে একটা আশা জাগে যে এবার হয়ত তার স্বপ্নটা পূরন হবে। কিন্তু যখন ছেলে পক্ষ তাকে দেখে চলে যায়। পরে ফোন করে বলে যে তাদের কাছে মেয়ে পছন্দ হয়নি তখন সেই মেয়েটার সেই স্বপ্নটা আবার ভেঙ্গে যায়। তার স্বপ্নটা ঠিক যেন সমুদ্র সৈকতের বালুতে আঁকা ছবির মত।একটু পর সাগরের পানি যেটাকে মুছে দিয়ে চলে যায়। সে আবারো ছবি আঁকতে থাকে এই ভেবে যে এবার হয় সেটা নষ্ট হবে না।কিন্তু সেটা আবারো সেই স্রোত কেড়ে নিয়ে চলে যায়।
এভাবেই চলতে থাকে তার জীবন।মাঝেমাঝে তার কালো চেহারাটা নিয়ে আয়নায় দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখে আর বলে কেন আমি কালো হয়ে জন্মালাম? তখন আবার নিজেকেই সান্ত্বনা দিয়েন বলে উপও ওয়ালা যা করে ভালর জন্যেই করে। মাঝেমাঝে পাশের বাসার সুন্দর ভাবি এসে বলে যে , এবার যাবার সময় একটু স্নো পাউডার বেশী করে লাগিয়ে যেও। মেয়েটা তাই করে।কিন্তু না এবারো হল না।সবাই তার চেহারাটাই দেখল।ভিতরে যে তার একটা সুন্দর মন আছে সেটা কেউ দেখল না।
বর্তমানে সবাই সুন্দর চেহারাটা খোঁজে।মনের খোজ আর কেউ করে না।উপরের সৌন্দর্য দিয়ে সব কিছু হয় না।উপরের সৌন্দর্যটা বর্তমানে আটা-ময়দা আর বাজারের ক্রিম দিয়েও হওয়া যায়।
কিন্তু ভিতরের সুন্দর্যটা আটা-ময়দা আর ক্রিম মেখে কখনই হওয়া যায় না।সেটার জন্যে সুন্দর একটা মন লাগে।