ঢাকা থেকে গ্রামে যাচ্ছি। বাস রাত ৩ : ৩০ এ সাহেব বাড়ি বাস স্ট্যান্ড এ নামিয়ে দেয়। আশে পাশে তাকিয়ে কোন যানবাহন দেখছি না। এখন কি রাতটা এখানেই কাটাতে হবে আমার? আমার বরাবরই রাতে ভূতের ভয় করে । তার উপর আবার ফজর এর আগ মূহুর্তে, ছোট থেকে শুনে এসেছি ফজর এর আগে জিন, ভূত ছুটোছুটি করে। এখানে দারিয়ে থেকে কাজ নেই আর। হাটতে শুরু করলাম।
সাহেব বাড়ি থেকে নানু বাড়ি পায়ে হেটে যেতে প্রায় ২ ঘন্টা লাগবে।
কিছু দূর হাটতেই পিছন পিছন মনে হচ্ছে কে যেনো আসছে। আড়চোখে তাকিয়ে দেখি, সত্যি সত্যি কে যেন আসছে। কিন্তু মনে হচ্ছে মহিলা। হন্হনিয়ে আমার পিছন পিছন আসছে। আমার তো পুরো শরীর কাপতে শুরু করলো।চোর ডাকাত হলে তো পুরুষ হবে।এ দেখি মহিলা,তার মানে ভূত-পেতনি। আমি সূরা পরতে পরতে জোরে হাঁটতে শুরু করলাম।পিছনে তাকিয়ে দেখি এখন আর নেই। আমার আরো ভয় হতে লাগলো। সামনে অনেক গুলো তালগাছ, যদি হঠাৎ করে তালগাছ থেকে লাফিয়ে পরে ঘারটা মটকে দেয়! হতে পারে জিন, মেয়ে জিনেরা ছেলেদের পছন্দ করলে শুনছি নিয়ে যায়।আল্লাহ তুমি রক্ষা কর।আমি আমার মা-বাবার শেষ সম্বল, আমাকে যদি নিয়ে যায় তাদের কি হবে।তাদের জন্য হলেও আমাকে বাচাও। আমি আর ভাবতে পারছি না।
সহজ পথে বাড়ি যেতে হবে। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যাবে না। কিছুটা দূরে দেখতেছি আলো জলছে, আমার শুকনো কলিজায় মনে হয় পানি দিলো কেউ।আমি এক দৌড়ে গিয়ে ঐ আলোর সামনে গিয়ে দারালাম।
একি এতো একটা মহিলা মাথা নিচু করে বসে আছে। চুল গোলো অনেক বড়ো, পরনে লাল সারি। আমি বল্লাম আন্টি এক গ্লাস পানি হবে।
মাথাটা উঠাতেই আমি হা করে হয়ে চেয়ে রইলাম। এ কেমন রূপের ঝলকানি,অপূরুপ সুন্দর। যেনো আকাশের চাঁদটা নেমে আসছে।
আমি,সরিইইই...আপু, আন্টি বলে ফেলছি। তাৎক্ষণিক ভাবে মনে একটা কথা আসলো এটা ঐ জিন বা পেতনিটা না তো?এতো সুন্দর তো কোন মানুষ হতে পারে না! মনে হচ্ছে আকাশ থেকে পরি নেমে আসছে। আসলেই পরি না তো? আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার বলতে বলতে দৌড়।
আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে, দৌড়াতে দৌড়াতে ঘামে শরীর ভিজে গেছে। কিছু দূর আসতেই দূরসম্পর্কের মামার বাড়ি পড়লো। বাড়িতে ডুকবো ঠিক এমন সময় কয়েকজন মিলে মুখ চেপে হাত পা বেদে চেং দোলা করে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে।
এ কি অবস্থা এরা কারা ভূত তো না। তাহলে কি ডাকাত। পাশে ঐ সুন্দরী মেয়েটা। আল্লাহ এরা কারা আমাকে কই নিয়ে যাইতাছে।
আমাকে বিলের মাঝে একটা টিনের বাড়িতে এনে রাখলো। হাত পা বাদা মুখ ও বাদা। ভয়ে আমার প্রচন্ড হিসু পাইছে। মেয়েটা একটু পরে এসে বলছে আপনার অনেক কষ্ট হচ্ছে না। বাদ খুলে দিচ্ছে, কিন্তু চেচা মেচি করবেন না আমরা কিন্তু ডাকাত। আমি মাথা নেরে সহমত জানালাম।সে তার নরম হাত গুলো দিয়ে যখন আমার বাদন খুলছিল, আমার ভিতরে কেমন যেনো একটা ফিল কাজ করছিলো। আমার মুখের বাদ টা খুলতেই আমি বল্লাম আমার অনেক হিসু পাইছে। ওয়াশরুম টা কোথায়।মেয়েটা অট্ট হাসি দেয়। সে যেমন সুন্দর তার হাসি তেমন সুন্দর কি অপূর্ব হাসি।
চলেন মসাই হিসু করবেন, এই কথা বলছে আর খিল খিল করে হাসছে।
বাহিরে দেখি, সে কি গার্ড রে বাবা।আমার জন্য এতো গার্ড? আগে প্রকৃতির ডাকে সারা দেই। পরে দেখা যাবে।আমি দারিয়ে আপন মনে ত্যাগ করছি [দারিয়ে প্রস্রাব করা..❌ ] ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে দেখি সে দারিয়ে আছে আর আমাকে দেখে হাসছে। কিছু বলার সাহস হচ্ছে না। ডাকত তো, কিছু বল্লে যদি মেরে ফেলে। না না আমার এখন মরার ইচ্ছে নাই।
এই যে স্যার চলেন, আপনি কি আরো হিসু করবেন, হাহাহাহা করে সে কোন হাসি।
আমি তার সাথে আবার সেই ঘরে গেলাম। সে আমাকে রেখে আবার দরজা আটকিয়ে দিলো।কিছুক্ষন পর কয়েক আইটেম এর খাবার নিয়ে আসলো। আমি তো অবাক ডাকাতরা কি এইভাবে আপ্যায়ন করে।
নেন স্যার খেয়ে দেয়ে ফ্রেস হন। অনেক কাজ আছে আপনার। আমি ভয়ে ভয়ে খাচ্ছি। সে আমাকে খাবার দিয়ে দিচ্ছে। ইস এই ময়েটা যদি আমার বউ হতো। কেন যে ডাকাত হলো।মেয়েরাও ডাকাত হয় আজকে দেখলাম।
পেট ভরে খান। দুদিন বাদে বিয়ে।
আমি.. কি? কার বিয়ে?
আপনার আর কার।
কার সাথে?
আমার সাথে, আপনাকে কি এমনি জামাই আদর করতেছি নাকি। আর চেঁচামেচি করতে মানা করছি না। চেঁচামেচি করলে কিন্তু একদম শেষ।
আমি চুপ হয়ে গেলাম, আল্লাহ ভালো লাগে দেখে কি ডাকাত বউ কপালে দিলা।
(চলবে)
( ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)
✅..........কুইজ........✅
মেয়েটা কি সত্যি ডাকাত ❓
যাদের উত্তর সঠিক হবে তার নেক্সট পার্ট সবার আগে পাবেন।
গল্পের নামঃ ডাকাত_বউ
পার্ব_১
মোহাম্মদ_মাহকুল_হুসাইন