অপরিচিত নারীর সাথে ফেসবুক, ইমু এবং হোয়াটস্যাপ এ চ্যাটিং শুরু করবেন কিভাবে
যদি আপনি ফেসবুক ব্যাবহার করেন তবে চ্যাটিং বিষয়টি আপনার অজানা নয়। আগে প্রেম হতো বাঁশঝাড়ের নিচে চিঠি আদান-প্রদান করে। আর এখনকার প্রেম মুঠোফোন ছাড়িয়ে স্থান করে নিয়েছে অনলাইনে। তাই ফেসবুকে আপনি মনের মত সঙ্গী খুঁজে পেতেই পারেন। যদি আপনার চ্যাটিং এর উদ্দেশ্য অসৎ হয় তবে এই টিপসগুলো আপনার জন্য নয়। আর যদি সত্যিই কাউকে ভাল লেগে থাকে তবে আপনার জন্যই রইল এই দশ টিপস।
১. আগে নির্বাচিত করুন: যার সাথে চ্যাটিং শুরু করতে চান তাকে আগে নির্বাচিত করুন। নির্বাচিত করার আগে মনে রাখবেন আমাদের এই অসভ্য দেশে অধিকাংশ নারী আইডির মালিকই পুরুষ! অর্থাৎ সেগুলো ফেইক আইডি। তাই প্রোফাইল ভালভাবে যাচাই না করে নির্বাচন করবেন না। তার প্রোফাইলের পূর্নাঙ্গ বিবরণ, ছবি, মিউচুয়াল ফ্রেন্ড, ইত্যাদি বিবেচনা করে নির্বাচন করুন। যদি আপনার আকাঙ্খিত নারীটি পরিচিত হয় তবে সেটা আরও ভাল। তারপর তাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। একসেপ্ট না করলে তার মন-মানসিকতা অনুযায়ী বন্ধু হতে চান এই মর্মে ইনবক্স করুন।
২. চ্যাটিং শুরু করুন: ফ্রেন্ডলিস্টে এড হবার পর চ্যাটিং শুরু করে দিন। প্রথমে তাকে ‘হ্যালো’ বলুন। তার পেশা, ইন্টারেস্ট, পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে জানতে চান। সুন্দর করে লিখুন “আমরা কি আমাদের পারস্পরিক পছন্দ-অপছন্দ শেয়ার করতে পারি?”। তারপর নিজের পছন্দ গুলিও জানিয়ে দিন। এর মাধ্যমেই সুন্দর করে নিজেকে উপস্থাপন করুন তার কাছে। সাবধান মিথ্যা বলবেন না।
৩. কথা চালিয়ে যান: চ্যাটিং বন্ধ করবেন না। আবার সবসময়ই তাকে নক করে করে বিরক্ত করবেন না। চ্যাটিংয়ের একটি নির্দিষ্ট সময় তৈরি করুন। এর আগে বা পরে তাকে নক করবেন না। প্রতিদিনের শুরুতে জানতে চান ‘তুমি কেমন আছ?” সেই দিনে আপনার জীবনে ঘটা কোন উল্লেখযোগ্য ঘটনা তাকে বলুন। সেই বালিকা রাজনীতি-সমাজ সচেতন হলে সে বিষয়গুলিও আলোচনা করুন। তবে নিজের টা বলার আগে তার মতামতটা জেনে নিন।
৪. তার সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করুন: সে জানতে না চাইলে নিজের কথা বলতে যাবেন না ।সুন্দর, স্মার্ট ও দৃষ্টিনন্দন একটা প্রোফাইল পিকচার দিন। বেশী জবরজং ছবি মেয়েরা পছন্দ করে না। এবং অবশ্যই তার সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করুন। তার প্রিয় বই, প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী, প্রিয় মুভি, গান, প্রিয় লেখক ইত্যাদি জিজ্ঞেস করতে পারেন। তারপর এই বিষয়গুলোর মধ্যে যে বিষয়ে আপনার জ্ঞান আছে সেটা নিয়ে কথা শুরু করুন। তার কোন স্পেশাল মুভি দেখার বা গান শোনার ইচ্ছে আছে কিনা জানতে চান। তারপর অনলাইন ঘেটে লিংক পাঠিয়ে দিন।
৫. নিজেকে প্রদর্শন করবেন না: নিজের সম্পর্কে বেশী কথা বলবেন না। পাশাপাশি নিজের গল্প বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলতে যাবেন না। এটা কেউ পছন্দ করে না। মেয়েরা তো নয়ই। বরং তার কথাগুলি জানতে চান। আপনি যে ঠান্ডা মস্তিস্কের মানুষ এবং তার কথা শোনার মত ধৈর্য্য আপনার আছে সেটা প্রমাণ করুন।
৬. বাজে ব্যাবহার, বাজে ভাষা পরিহার করুন: কথনোই তার সাথে রুঢ় আচরণ করবেন না। আজে বাজে শব্দ, ভাষা, গালাগালি ব্যাবহার করবেন না। চ্যাটিংএর শুরুতেই যৌনালাপের দিকে চলে যাবেন না। আমাদের দেশের মেয়েরা এসব পছন্দ করে না। যদি কথাপ্রসঙ্গে কোন যৌনতা বিষয়ক টপিক চলে আসে তবে খুব সতর্কতার সাথে শ্লীল ভাষা ব্যাবহার করে কথা বলুন। এতে আপনার প্রতি তার আকর্ষণ আরও বাড়বে। কোন উত্তেজক ইমোটিকন ব্যাবহার করবেন না।
৭. প্রশংসা করুন: প্রশংসা সবাই পছন্দ করে। মেয়েরা একটু বেশীই করে। মেয়েদের রুপের প্রশংসা করলে তারা খুশি হয়। কিন্তু খুব বাড়াবাড়ি প্রশংসা করলে মেয়েরা ধরে ফেলে যে আপনি তেলবাজি করছেন। তাই খুব সংযত হয়ে যেটুকু প্রশংসা করা উচিৎ ঠিক সেটুকুই করুন। শুধু রুপ নয়, তার গুণের প্রশংসাও করুন। সে কোন কাজটা ভাল পারে সেটা জেনে নিন এবং উৎসাহ দিন।
৮. বন্ধুত্ব যাচাই করুন: হুট করে তাকে বাইরে মিট করতে ডাকবেন না। হুট করে কোন নগ্ন বা যৌনতানির্ভর ছবি পাঠাবেন না। বা তার ফোন নাম্বারও জানতে চাইবেন না। সম্পর্ক গড়তে তাড়াহুড়া খুবই অযোগ্যতা। বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ চালিয়ে যান। দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল নিয়ে আলোচনা করুন । দিনের কোন বিশেষ ঘটনা নিয়ে আলোচনা করুন। তারপর যখন আপনাকেই সে নক করা শুরু করবে তখন বুঝবেন যে বন্ধুত্বটা দুজনের মাঝেই বিকাশ লাভ করেছে।
৯. দেখা করার প্রস্তাব দিন: ধরে নিলাম আপনাদের বন্ধুত্ব অনেকদিন হয়েছে। দুজনে খুব ভাল বন্ধু হয়ে গেছেন। প্রতিদিন চ্যাটিং করছেন। তো এবার তাকে দেখা করার প্রস্তাব দিন। আবারো বলছি কোন অন্যায় করার ইচ্ছে থাকলে এই পোস্ট পড়বেন না। সে রাজী হলে তার পছন্দের স্থানটি জানতে চান। নির্দিষ্ট দিনে অবশ্যই ফুল নিয়ে হাজির হয়ে যান নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। সে আসলে তার হাতে ফুল গুঁজে দিন। না প্রথম দিনেই প্রেমের অফার করবেন না। তবে সম্পর্কের ইতি হতে পারে। । তার পছন্দের কোন খাবার থাকলে খেতে পারেন।