প্রিয় পাঠকগন, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো 'মুনমুন ফেরদৌসী দীপ্তি' আপুর লেখা একটি প্রেমের কবিতা। আশা করি এই ভালোবাসার কবিতা টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। আর হ্যাঁ, এই রখম আরো ভালোবাসার কবিতা এবং প্রেমের কবিতা পেতে আমাদের ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
আক্ষেপ ছিল কেউ কখনো চোখে চোখ রেখে বলেনি ভালোবাসি
নীল খাম কিংবা সাদা খামে কেউ কখনো প্রেমপত্র দেয়নি৷
তখন আমি কিশোরী; দু'চোখে রঙিন স্বপ্ন বুনি
সাধ হলো কেউ লিখুক আমার কাছে প্রেমপত্র৷
মাস ছয়েক পর মায়ের বকুনিসহ হাতে পেয়েছিলাম প্রাপকের স্থানে আমার নামে চিঠি৷
ঘণ্টা দুয়েক ভীষণ রকমের অস্থির ছিলাম
প্রেরকের স্থানের শূন্য জায়গায় কোন নামটি
হতে পারে ভেবে,
অদ্ভুত ভালোলাগা ছুঁয়ে যাচ্ছিল অপরিপক্ক কিশোরী ভাজে৷
কি যে তৃপ্তির অনুভূতি যা চোখ ভেদ করে পৌঁছে গিয়েছিল হৃৎপিণ্ডের দরজায় আর ভীষণ জোরে
কড়া নেড়েছিল ভাবনার ফড়িংগুলো-
কে সে? কেমন দেখতে সে?
হঠাৎ চুপসে গেল মনটা
জেনে গেলাম প্রেরকের স্থানে কারো নাম কোনোদিন ঠাঁই পাবে না৷
শূন্যস্থান পূরণের দায়ভার কেউ নেবে না।
ভালোবাসা যে বড্ড কঠিন, বড্ড সেকেলে৷
সাদা কাগজে নীল কালির কলম দিয়ে লিখেছিলাম নিজের কাছে প্রেমপত্র৷
আমার হাতের লেখা আড়াআড়ি স্বভাবের
কারণ খাতাটা সবসময় আড়াআড়ি করে ধরতাম৷
সেদিন সাদা কাগজটি সোজা করে ধরে নীল কালি
দিয়ে সোজা অক্ষরে হাজার বার লিখেছিলাম ভালোবাসি।
সাদা খামে চিঠি ভরে গরম ভাতের আঠা দিয়ে
বন্দি করেছিলাম ভালোবাসা৷
খামের উপরে প্রাপকের নামের স্থানে লিখেছিলাম নিজের নাম৷
কুড়ি টাকা খরচ করে পোস্ট অফিসে গিয়ে ডাকবাক্সে চিঠিটি রেখে ফিরে এসেছিলাম৷
তারপর অপেক্ষা করতে করতে একদিন
ভুলে গিয়েছিলাম প্রাপকের স্থানে আমার নাম
আর প্রেরকের স্থানে শূন্যতার চাহনি৷
ট্যাগসঃ ভালোবাসার কবিতা, প্রেমের কবিতা, রোমান্টিক কবিতা, বাংলা কবিতা