হাই, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো 'মুনমুন ফেরদৌসী দীপ্তি' আপুর লেখা একটি ভালোবাসার কবিতা। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
কবিতার নামঃ প্রেমিকা
লিখেছেনঃ মুনমুন ফেরদৌসী দীপ্ত
হে প্রেমিক আমাকে প্রেম দাও
তবে আমি একটি কাব্য রচনা করবো৷
হে প্রেমিক যদি শরীরী ভালোবাসা চাও
তবে আমার কাব্য রচনা থেমে যাবে না
কিন্তু আমি আর প্রেমিকা রবো না
আমিও হয়ে উঠবো নারী
যেভাবে তুমি প্রেমিক থেকে হয়েছো পুরুষ।
যেদিন তুমি প্রেমিক থেকে পুরুষ হলে
তোমার প্রেমিকা আত্মহত্যা করে হয়ে উঠলো নারী।
শরীরী ভালোবাসায় কাব্য রচনা হলো
দেহের প্রতিটি ভাজের সৌন্দর্য স্থান পেলো
শব্দগুলো হয়ে উঠলো বেহায়া৷
তাই দেখে আমার ভক্তকুল বাহ্বা জানালো
আর তৃপ্তি পেলো তাদের গোপন অঙ্গ৷
হে প্রেমিক যদি তুমি আমায় প্রেম দিতে
আমি কবি হয়ে উঠতাম
ভালোবাসা দিয়ে গেঁথে দিতাম শব্দগুলো
অমরত্বের সুখ নিয়ে শব্দগুলো কাব্য হয়ে রয়ে যেতো পৃথিবী ধ্বংসের পরেও৷
আমার ভক্তকুল ভালোবেসে আমায় স্থান দিতো
তাদের হৃদয়ে
তখন আমি কেবল নারী নই, মানুষ হতাম
হতাম তোমার প্রেমিকা।
কবিতার নামঃ উড়াল পঙ্খী
লিখেছেনঃ মুনমুন ফেরদৌসী দীপ্তি
সে হারিয়ে গেলে তাকে আর খুঁজবো না
যে স্বেচ্ছায় হারিয়ে যেতে চায় সে হারিয়ে যাক
মনের গভীরে তাকে আর পুষবো না
নোনা জলে কাউকে বেঁধে রাখা যায় না
মায়া দিয়ে যাকে বাঁধতে পারিনি
কোন অধিকারে তাকে কাছে রাখবো ধরে?
ভালোবাসতে শিখেছি তাই বাঁধতে শিখিনি
উড়াল পঙ্খীর খাঁচা কখনো ক্রয় করিনি
পঙ্খী আমার কাছ ঘেষে থাকতো
তাকে যত্ন করেছি, ভালোবেসে নাম দিয়েছি
আমার পঙ্খী কথা বলতে শিখেছিল
ভালোবেসে আমারো সে নাম দিয়েছিল
দিনরাত গল্পের সঙ্গী ছিল সে
আজ হঠাৎ জানালো সে হারিয়ে গেলে
তাকে যেন আমি আর না খুঁজি
তারপর উড়াল দিলো৷
আমি তাকে ডাকিনি, বাঁধা দিইনি
স্বাধীন করেছি বিশাল আকাশে
সেই শুরুর দিন থেকেই
যেদিন অন্যজনের খাঁচা থেকে পালিয়ে
আমার কাছে আশ্রয় নিয়েছিল।
চিৎকার করে বলি
যাও পঙ্খী উড়াল দাও
যেখানে খুশি চলে যাও
চলে যাও সীমানা পেরিয়ে
তোমার আনন্দের নীড়ে।
ট্যাগসঃ বাংলা কবিতা, প্রমের কবিতা, ভালোবাসার কবিতা, বাংলা কবিতা এসএমএস, প্রেমের ছন্দ, কষ্টের কবিতা, আবেগের কবিতা, ইমুশনাল কবিতা