অভিমানী মেয়ে বাংলা ভালোবাসার গল্প এবং নতুন প্রেমের গল্প।
এই কোথায়রে তুই, ওই হারামী,কুত্তা, বান্দর কই তুই?
আমার ফোন রিসিভ করলি না কেনো?
কতোবার ফোনদিছি তোরে?
-আরে দাড়া তুই ওখানে এইতো আমি আসছি।
তোর পাশেই তো আছি আমি। একটু দাড়া।
-ওই হারমী ওই বল আমি কোথায় এখন?
-তুই?তুই তো এখন আমার রুমের সামনে!
-দাড়া হারামী!!
ঝড়ের বেগে ঘরে ঢুকলো তোয়া।
এসেই কান দুটো ধরলো
ওই তুই এখানে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিস আর আমি তোকে কতো বার ফোন দিছি?
-আরে ঘুম পাচ্ছিল তো! আমি তো জানি তুই আমারে ফোন দিলে আর ছাড়বি না।তাই তো ফোনটাকে নিরব মুডে রেখে দিলাম।
-কি?আমি ফোন দিবো বলে তুই ফোন সাইলেন করে ঘুমিয়েছিস।
ঠিক আছে থাক তুই।
আর তোকে ফোন দিবো না।
আর ফোনটাকে এমন করে রাখতে হবে না।
থাক তুই।
বলেই বের হয়ে গেলো তোয়া।
ঝড়ের বেগে এসেছিলো
ঝড়ের বেগে চলে গেলো।!
নীল হা করে দাড়িয়ে আছে।
চলে গেলো তোয়া!
যেমন রাগি,অভিমানী ঠিক তেমনি ভালোবাসে।
নীল কে ছাড়া তোয়া যেনো কিছু ভাবতেই পারে না।
রেগে গেলে একটা কথা বলে দেখো তোমার সাথে আমি সত্যি সত্যি ব্রেকআপ করে দেবো।
তারপর নিজেই বলে
ব্রেকআপ করে তো আমি থাকতে পারবো না
তাহলে!!!
না আর এখানে থাকলে চলবে না।
মেয়েটাকে একটা ফোন দিতে হবে বড্ড অভিমান করে চলে গেছে।
না ফোন দিবো না
একে বারে সামনে যেয়েই রাগ ভাঙাতে হবে।
গাল ফুলিয়ে থাকবে!
কাঁদো কাঁদো গলায় বলতে হবে সরি তোয়া আর হবে না।
আর এমন টা করবো না!
এবারের মতো আর একটা চড় থাপ্পড় দে প্লিজ রাগ করিস না।
প্লিজ আর করবো না।
তখন মুখটাকে ঘুরিয়ে অন্যদিকে নিয়ে যাবে
-ঠিক আছে আর বলতে হবে না।
হাতটা ধরে মুখের কাছে এনে ছোট্ট করে একটা চুম্বন একে দিলেই তোয়া দু চারটে চড় থাপ্পড় মেরে দিবে।
বুকের উপর আছড়ে পড়বে।
-তুই জানিস না আমার ফোনটা না তুললে আমার কষ্ট হয়।যদি তোর কিছু হয়ে যাই।
-পাগলি মেয়ে কি হবে আমার তোকে ছেড়ে কোথায় যাবো আমি?তুই তো কথায় কথায় ব্রেকআপ করিস!আমি কি করতে পারি!
এসব কথা ভাবতে ভাবতে বেরিয়ে পড়লো নীল।
খুব রেগে গেছে তোয়া।
গেটের সামনে আসতেই দারোয়ান কাকা বললো
-নীল বাবা কেউ তো বাসায় নাই কোথায় যাবা তুমি?
-কেউ নাই মানে? কই গেছে?
-আরে তুমি জানো না তোয়া দিদিমনির দাদুর শরির খুব খারাপ, গ্রামের বাড়িতে গেছে সবাই।
এটাই তাহলে বলতে গিয়েছিল তোয়া।
ইশ্
কেনো যে এমন করলাম!
আমার সাথে রাগ করেই চলে গেলো।
কতো দিন থাকবে কে জানে।
আমারতো কষ্ট হবে ওকে না দেখলে।
আর ও তো থাকতেই পারবে না।
খুব অভিমান করেছে মেয়েটা।
একটা ফোন দি তোয়াকে।
খুব বেশি দুর হয়তো যাই নি।
ঠিক আমার সাথে দেখা করেই যাবে।
ফোনটা তো অফ বলছে!
এখন কি হবে
কি করে কথা বলবো আমি।
নিজের উপর নিজের খুব রাগ হচ্ছে।
তোয়ার সাথে তো আমার কথা বলতে হবে!
আমি কি যাবো
ওর গ্রামের বাড়ি সম্পর্কে তো কিছুই জানি না।
কই যাবো আমি।
মাথাটা প্রচুর ধরেছে।
ইচ্ছা করছে নিজেকে খুব বকতে।
তোয়ার তো রাগ হলেই আমায় বকা দেয়।
আনমনে সামনের দিকে হাটছে নীল।
হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠলো।
তোয়ার ছোট বোনের।
-নীল ভাইয়া তুমি কোথায়?আপুর এক্সিডেন্ট হয়েছে।
-কি বলছো
ফোনটা হাত থেকে পড়ে গেলো নীলের।
কি করবে ও
তোয়ার এক্সিডেন্ট!!
চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে।
কোনরকম ফোনটা হাতে নিলো
ফোন দিলো রিসিভের নাম্বারে
-ভাইয়া তুমি হাসপাতালে চলে এসো।
ফোনটা হয়তো কেটে গেছে না হয় হাত থেকে পড়ে গেছে কিছুই জানে না নীল।
নিজেকে বেসামাল ভাবেই উঠে পড়লো রিকসাতে।
আজ রিকসাটা খুব আস্তে চলছে।
দশ মিনিটের পথ কি এক ঘন্টা লাগছে।
হাসপাতালে ঢুকতেই দেখলো তোয়ার ছোট বোন দাড়িয়ে আছে।
নীলকে দেখেই জড়িয়ে ধরলো।
-ভাইয়া আপু,,,,
আর কথা বলতে পারছে না।
-কি হয়েছে আমার তোয়ার, কি হলো বলো।
ও ঠিক আছে তো।
ওর কিচ্ছু হবে না।
কোথায় ও
আমাকে নিয়ে চলো।
সামনে দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একটা মেয়েকে।
সাদা কাপড়ে ঢাকা
না ওদিকে নীল তাকাবেনা।
ওর তোয়া ঠিক আছে একদম ঠিক আছে।
নীলকে নিয়ে গেলো তোয়ার কাছে।
হ্যা এই তো তোয়া।
এখনো সেই রাগটা মুখে লেগে আছে।
অভিমান করে মুখ ফুলিয়ে আছে।
-এই তোয়া দেখ না সরি বলছি।
সরি তো সরি
আর করবো না এমন।
প্লিজ আমায় বকা দে।
চড় মারবি না আমায়।
ঠিক আছে এইযে আমি কান ধরছি।
তোর হাত টা ধরে এই তো একটা কিচ করলাম
তবু রাগ করে থাকবি।
কথা বলবি না।
এই তোয়া এই উঠ না।
একটা বার তো আমায় বল
কি নিয়ে আমি থাকবো।
তুই তো বলেছিলি ব্রেকআপ করে থাকতে পারবি না।
এভাবে ব্রেকআপ করলি আমার সাথে।
তুই তো ব্রেকআপ করেই চলে গেলি।
আমার কথা ভাবলি না।
আমি কি নিয়ে থাকবো।
নীলের মুখে আর কথা আসছে না।
কি করে কথা বলবে ও।
রাগ করে বাবা মার সাথে গাড়িতে করে ছুটেছিলে গ্রামের উদ্দেশ্যে।
পথেই এক্সিডেন্ট হয়।
তোয়ার বাবার একটা পায়ে সমস্যা হয়েছে।
আর তোয়া।
সে তো সেখানেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে গেছে।
তোয়া তো ঠিকি অভিমান বুকে নিয়ে চলে গেলো
কিন্তু নীল সে কি নিয়ে বাঁচবে।
তারতো সব কিছু ছিলো ওই তোয়া।
ব্রেকআপ করে দিলো তোয়া
এই ব্রেকআপ সেই ব্রেকআপ না
চিরতরের ব্রেকআপ।।।।।।
আমার ফোন রিসিভ করলি না কেনো?
কতোবার ফোনদিছি তোরে?
-আরে দাড়া তুই ওখানে এইতো আমি আসছি।
তোর পাশেই তো আছি আমি। একটু দাড়া।
-ওই হারমী ওই বল আমি কোথায় এখন?
-তুই?তুই তো এখন আমার রুমের সামনে!
-দাড়া হারামী!!
ঝড়ের বেগে ঘরে ঢুকলো তোয়া।
এসেই কান দুটো ধরলো
ওই তুই এখানে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিস আর আমি তোকে কতো বার ফোন দিছি?
-আরে ঘুম পাচ্ছিল তো! আমি তো জানি তুই আমারে ফোন দিলে আর ছাড়বি না।তাই তো ফোনটাকে নিরব মুডে রেখে দিলাম।
-কি?আমি ফোন দিবো বলে তুই ফোন সাইলেন করে ঘুমিয়েছিস।
ঠিক আছে থাক তুই।
আর তোকে ফোন দিবো না।
আর ফোনটাকে এমন করে রাখতে হবে না।
থাক তুই।
বলেই বের হয়ে গেলো তোয়া।
ঝড়ের বেগে এসেছিলো
ঝড়ের বেগে চলে গেলো।!
নীল হা করে দাড়িয়ে আছে।
চলে গেলো তোয়া!
যেমন রাগি,অভিমানী ঠিক তেমনি ভালোবাসে।
নীল কে ছাড়া তোয়া যেনো কিছু ভাবতেই পারে না।
রেগে গেলে একটা কথা বলে দেখো তোমার সাথে আমি সত্যি সত্যি ব্রেকআপ করে দেবো।
তারপর নিজেই বলে
ব্রেকআপ করে তো আমি থাকতে পারবো না
তাহলে!!!
না আর এখানে থাকলে চলবে না।
মেয়েটাকে একটা ফোন দিতে হবে বড্ড অভিমান করে চলে গেছে।
না ফোন দিবো না
একে বারে সামনে যেয়েই রাগ ভাঙাতে হবে।
গাল ফুলিয়ে থাকবে!
কাঁদো কাঁদো গলায় বলতে হবে সরি তোয়া আর হবে না।
আর এমন টা করবো না!
এবারের মতো আর একটা চড় থাপ্পড় দে প্লিজ রাগ করিস না।
প্লিজ আর করবো না।
তখন মুখটাকে ঘুরিয়ে অন্যদিকে নিয়ে যাবে
-ঠিক আছে আর বলতে হবে না।
হাতটা ধরে মুখের কাছে এনে ছোট্ট করে একটা চুম্বন একে দিলেই তোয়া দু চারটে চড় থাপ্পড় মেরে দিবে।
বুকের উপর আছড়ে পড়বে।
-তুই জানিস না আমার ফোনটা না তুললে আমার কষ্ট হয়।যদি তোর কিছু হয়ে যাই।
-পাগলি মেয়ে কি হবে আমার তোকে ছেড়ে কোথায় যাবো আমি?তুই তো কথায় কথায় ব্রেকআপ করিস!আমি কি করতে পারি!
এসব কথা ভাবতে ভাবতে বেরিয়ে পড়লো নীল।
খুব রেগে গেছে তোয়া।
গেটের সামনে আসতেই দারোয়ান কাকা বললো
-নীল বাবা কেউ তো বাসায় নাই কোথায় যাবা তুমি?
-কেউ নাই মানে? কই গেছে?
-আরে তুমি জানো না তোয়া দিদিমনির দাদুর শরির খুব খারাপ, গ্রামের বাড়িতে গেছে সবাই।
এটাই তাহলে বলতে গিয়েছিল তোয়া।
ইশ্
কেনো যে এমন করলাম!
আমার সাথে রাগ করেই চলে গেলো।
কতো দিন থাকবে কে জানে।
আমারতো কষ্ট হবে ওকে না দেখলে।
আর ও তো থাকতেই পারবে না।
খুব অভিমান করেছে মেয়েটা।
একটা ফোন দি তোয়াকে।
খুব বেশি দুর হয়তো যাই নি।
ঠিক আমার সাথে দেখা করেই যাবে।
ফোনটা তো অফ বলছে!
এখন কি হবে
কি করে কথা বলবো আমি।
নিজের উপর নিজের খুব রাগ হচ্ছে।
তোয়ার সাথে তো আমার কথা বলতে হবে!
আমি কি যাবো
ওর গ্রামের বাড়ি সম্পর্কে তো কিছুই জানি না।
কই যাবো আমি।
মাথাটা প্রচুর ধরেছে।
ইচ্ছা করছে নিজেকে খুব বকতে।
তোয়ার তো রাগ হলেই আমায় বকা দেয়।
আনমনে সামনের দিকে হাটছে নীল।
হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠলো।
তোয়ার ছোট বোনের।
-নীল ভাইয়া তুমি কোথায়?আপুর এক্সিডেন্ট হয়েছে।
-কি বলছো
ফোনটা হাত থেকে পড়ে গেলো নীলের।
কি করবে ও
তোয়ার এক্সিডেন্ট!!
চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে।
কোনরকম ফোনটা হাতে নিলো
ফোন দিলো রিসিভের নাম্বারে
-ভাইয়া তুমি হাসপাতালে চলে এসো।
ফোনটা হয়তো কেটে গেছে না হয় হাত থেকে পড়ে গেছে কিছুই জানে না নীল।
নিজেকে বেসামাল ভাবেই উঠে পড়লো রিকসাতে।
আজ রিকসাটা খুব আস্তে চলছে।
দশ মিনিটের পথ কি এক ঘন্টা লাগছে।
হাসপাতালে ঢুকতেই দেখলো তোয়ার ছোট বোন দাড়িয়ে আছে।
নীলকে দেখেই জড়িয়ে ধরলো।
-ভাইয়া আপু,,,,
আর কথা বলতে পারছে না।
-কি হয়েছে আমার তোয়ার, কি হলো বলো।
ও ঠিক আছে তো।
ওর কিচ্ছু হবে না।
কোথায় ও
আমাকে নিয়ে চলো।
সামনে দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একটা মেয়েকে।
সাদা কাপড়ে ঢাকা
না ওদিকে নীল তাকাবেনা।
ওর তোয়া ঠিক আছে একদম ঠিক আছে।
নীলকে নিয়ে গেলো তোয়ার কাছে।
হ্যা এই তো তোয়া।
এখনো সেই রাগটা মুখে লেগে আছে।
অভিমান করে মুখ ফুলিয়ে আছে।
-এই তোয়া দেখ না সরি বলছি।
সরি তো সরি
আর করবো না এমন।
প্লিজ আমায় বকা দে।
চড় মারবি না আমায়।
ঠিক আছে এইযে আমি কান ধরছি।
তোর হাত টা ধরে এই তো একটা কিচ করলাম
তবু রাগ করে থাকবি।
কথা বলবি না।
এই তোয়া এই উঠ না।
একটা বার তো আমায় বল
কি নিয়ে আমি থাকবো।
তুই তো বলেছিলি ব্রেকআপ করে থাকতে পারবি না।
এভাবে ব্রেকআপ করলি আমার সাথে।
তুই তো ব্রেকআপ করেই চলে গেলি।
আমার কথা ভাবলি না।
আমি কি নিয়ে থাকবো।
নীলের মুখে আর কথা আসছে না।
কি করে কথা বলবে ও।
রাগ করে বাবা মার সাথে গাড়িতে করে ছুটেছিলে গ্রামের উদ্দেশ্যে।
পথেই এক্সিডেন্ট হয়।
তোয়ার বাবার একটা পায়ে সমস্যা হয়েছে।
আর তোয়া।
সে তো সেখানেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে গেছে।
তোয়া তো ঠিকি অভিমান বুকে নিয়ে চলে গেলো
কিন্তু নীল সে কি নিয়ে বাঁচবে।
তারতো সব কিছু ছিলো ওই তোয়া।
ব্রেকআপ করে দিলো তোয়া
এই ব্রেকআপ সেই ব্রেকআপ না
চিরতরের ব্রেকআপ।।।।।।